শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

কুষ্টিয়া সাবেক প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট  

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সাবেক প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট  

অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কুষ্টিয়া হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান ও তার স্ত্রী বিলকিস রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দিয়েছে দুদক। 

এর আগে ২০২১ সালে খলিলুর রহমানের স্ত্রী বিলকিস রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক উপপরিচালক মো. জাকারিয়া। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের মামলা নং ০৭। চার্জশীট নং ২। দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তদন্ত করেন। 

 দুদক কুষ্টিয়ার কার্যালয় জানায়,  কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পাহারপুর গ্রামের বর্তমানে মতিউর রহমান টাওয়ার, থানাপাড়া কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া আসামি মো. খলিলুর রহমানের স্ত্রী বিলকিস রহমান ৭২ লাখ ৭ হাজার ২৯৬ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ তথা অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। 

এছাড়া অভিযোগ  পত্র অনুযায়ী তিনি ২৮ লাখ ৯২ হাজার ৫৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। তার অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেন তার স্বামী কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পাহারপুর গ্রামের বর্তমানে মতিউর রহমান টাওয়ার, থানাপাড়া কুষ্টিয়া সদরে বসবাসকারী মৃত ময়েন উদ্দিন আহম্মেদ ছেলে কুষ্টিয়া হাইস্কুল (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) মো. খলিলুর রহমান দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। 

অভিযোগ পত্রের সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের নির্দেশে আসামি বিলকিস রহমান গত ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর কমিশন বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তিনি তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৮০লাখ ৬৩ হাজার ৪১৮ টাকা সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেন। 

কিন্তু তদন্তকালে তার নামে ২ কোটি  ৯ লাখ ৫০ হাজার ৯৯৪ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। যার মধ্যে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি ২৮,৯২,৫৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য উল্লেখ না করে সম্পদ বিবরণীতে ভিত্তিহীন বা  মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। 

টিএইচ